আপনাদের বিবেকের কাছে কয়টি প্রশ্ন?

বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর ধর্মের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু কিছু চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে বার বার মুসলমান ধর্মের নবী-রাসূলকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ফেইসবুকে কুৎসিত ভাষায় মন্তব্য করছে যা অত্যন্ত গর্হিত এবং চরমপন্থি। অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে এধরণের দৃষ্টতা ক্ষমার অযোগ্য। এরপরও কথা হলো-৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মের উপর বার বার দৃষ্টতাপূর্ণ অবমাননা অগ্রহণযোগ্য মাত্র  ৮% ধর্মের উপর এভাবে নির্যাতন চালাবে তা ভাবতেও অবাক লাগে।  স্যার,আপনারা দেশ এবং জাতিকে পরিচালনার পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত। আপনাদের নিরপেক্ষ দৃষ্টিই পারে মানবতাকে রক্ষা করতে। আপনাদের বিবেকের কাছে কিছু রাখতে চাই-

১নং- বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ট ধর্মকে নিয়ে কেন কটাক্য করছে? তাদের উদ্দ্যেশ্য কি?

২নং- রাষ্ট্রে ও সমাজে এই ধরণের অশান্তি সৃষ্টি করে কি অর্জন করতে চায়?

৩নং- নাসির নগরের রসরাজ,নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তি ভক্ত, রংপুরের টিটু রায়দের কেন বিচার হয়    না? বরং তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে । এটা কি নিষ্ঠুরতা নয়?

৪নং- সংখ্যালঘুরা কেন সংখ্যাগরিষ্টদের উপর সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে?

৫নং- কেন মিডিয়া মত্য প্রকাশ না করে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় সন্ত্রাসকে সমর্থন করছে?

৬নং- এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জাতি কি তাদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে এদেশে বেচে থাকতে পারবে?

৭নং- কোনো মুসলমান কি অন্য কোনো ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছে? কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।    তারপরেও কেন এই মজলুম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মৌলবাদ,জঙ্গিবাদ ইত্যাদি অপবাদ দেওয়া হয়?

৮নং- বিশ্ব সন্ত্রাসী জঙ্গি অং সান সূচি, বিশ্ব মৌলবাদী জঙ্গি  আদিত্যনাথ যোগী, তাদের অনুসারীরা কেন    আমাদের শান্তির সোনার বাংলাকে অশান্তি করতে চায়?

৯নং- কেন শান্তিবাদী মুসলিম জনতার উপর গুলি চালানো হচ্ছে? কি অপরাধে শান্তির ধর্মের    অনুসারীদের গুলি করা হচ্ছে?

১০নং- মৌলবাদী জঙ্গি  টিটু রায়,রস রাজ,জয়ধর,শ্যামল কান্তি ভক্ত,অঞ্জলী দেবীদের রাষ্ট্র    পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে? কেন তাদের বিচার হয় না?  তারা শুধু সাম্প্রদায়িক  সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে    না;তারা তাদের অনুগত মিডিয়াকে ব্যবহার করে হত্যা,খুন,গুমের মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িত কি    না তা খতিয়ে দেখা দরকার?

১১নং- ৯২% মুসলিম দেশে দেবী মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে সুপ্রিমকোর্টের সামনে উপস্থাপন    করা হল কেন?

১২নং- বাংলাদেশে অধিকাংশ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে মনে    হয় যুদ্ধ লিপ্ত এবং মুসলিম জাতি সত্ত্বাকে মুছে ফেলার জন্য একাট্রা; যেমন- নাসির নগরের নিয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মের ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলকে আমাদের ৭১ টিভি,ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিসহ কয়েকটা টিভি চ্যানেল প্রচার করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল,কি ভয়ংকর মিথ্যাচার দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু উগ্রবাদীরা ইসলাম ধর্মের নবী-রাসূলকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের তখন প্রতিবাদ জানায় এসব মিডিয়া। পরিকল্পিতভাবে শান্তিবাদী মুসলিম জনতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে। সংখ্যালঘুদের ঘর পোড়ানোর সাথে এসব মিডিয়া জরিত কি না তা খতিয়ে দেখা উচিৎ।

১৩নং- বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে আমার সন্দেহ যে,মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট জাতি সংখ্যালঘুতে    পরিণত হতে যাচ্ছে। শিক্ষা,চাকরি,ব্যবসা প্রত্যেকটি বিভাগে মুসলমানদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। কেউ    কেউ বলছেন এদেশের মুসলমানেরা রুহিঙ্গাদের মত নির্যাতনের শিকার হবে কি না?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Transformation of sentence

বিষ্ময়কর ইংরেজি তথ্য